বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করা চার সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে
বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করা চার সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে জাহাজে টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা জাহাজের উপরের দিকে ভারী অস্ত্র হাতে অবস্থান করছে।
এক্সের ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ’র হাইজ্যাক হওয়ার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই (১২ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে। ওইদিন সকালে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি সফলভাবে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে দেয়।
পরে হাইজ্যাক করা ক্রু সদস্যদের (বাংলাদেশী নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।
এদিকে ইইউ নৌবাহিনীও অপারেশন আটলান্টার আওতায় জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। শুক্রবার সকালে ইইউ নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সংগৃহীত ভিজ্যুয়াল তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে জাহাজটিতে কমপক্ষে ১২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।